গুজব থেকে প্রবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, নিজের ব্যবহার করা মোবাইলের পাশাপাশি, বিদেশ থেকে আরও দুইটি নতুন ফোন আনার অনুমতি প্রবাসীদের দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রবাসীদের ফোন রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের পোস্টে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশ থেকে একটার বেশি মোবাইল সেট আনলে ট্যাক্স দিতে হবে এমন কোনো নতুন নিয়ম সরকার করেনি।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার আমলে প্রবাসী কর্মীরা নিজের ব্যবহৃত ফোনের সঙ্গে মাত্র একটি নতুন সেট আনতে পারতেন। বর্তমান সরকার সুবিধা বাড়িয়ে দুইটি নতুন সেট আনার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসীরা এখন নিজ ব্যবহৃত সেটসহ দুইটি নতুন ফোন আনতে পারবেন। দুইটির বেশি আনলে শুধুমাত্র অতিরিক্ত সেটের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। এনবিআর ব্যাগেজ রুল পরিবর্তন করে প্রবাসীদের এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই সুবিধা কেবল বিএমইটি (প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়) থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে যাওয়া প্রবাসীরা পাবেন, অন্যদের জন্য আগের নিয়মই প্রযোজ্য থাকছে।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের ফোন রেজিস্ট্রেশন করা নিয়েও নতুন কোনো আইন হয়নি। মূলত, ১৬ ডিসেম্বর থেকে যে কেউ নতুন মোবাইল ব্যবহার শুরু করলে ৬০ দিনের মধ্যে সেই ফোনটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। অবৈধ সেট ব্যবহার করে দেশে ও প্রবাসে অপহরণ, হুমকি, চাঁদাবাজি ও জুয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য এই আইন করা হয়েছে। এই আইনটি কাউকে হয়রানি করার জন্য নয়, বরং সুরক্ষার জন্যই করা হয়েছে।

উপদেষ্টা প্রবাসীদের প্রতি গুজব ও গিবত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া বা গিবত করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় পাপ। অনেকে ভুলভাবে প্রচার করছে যে প্রবাসীরা দেশে ৬০ দিন থাকতে পারবেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের জঘন্য মিথ্যাচার প্রতিরোধ করার আহ্বানও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার চান্দুরায় ব্যাংকে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে। 

তবে আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়লেও ব্যাংকের ভোল্টের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ম্যানেজার মো. কলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে বাইরে থেকে পেট্রল ঢেলে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকে আগুন দেয়। কর্তব্যরত নৈশপ্রহরী বিষয়টি টের পেয়ে আমাদের জানান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজয়নগর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াসি আজাদ বলেন, ঘটনার পর পৌঁছে দেখা যায়, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ব্যাংকের নৈশপ্রহরী ও স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছেন, বাইরে থেকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন বলে তিনি জানান।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা কেউ দেখেনি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বিক্ষোভকালে টায়ারে আগুন জ্বালাতে গিয়ে দগ্ধ হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা

মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালাতে গিয়ে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় বিক্ষোভকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ছুটতে থাকেন শহিদুল ইসলাম নামে ওই নেতা। পরে তার সহকর্মীরা শরীরের জামা খুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

শহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম বিএনপির সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নাসির হোসেন অস্থিরকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ করছিলেন তার সমর্থকরা। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

জানতে চাইলে মনোনয়ন বঞ্চিত নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এসময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

কিছু করলেই বলে চলে গেল, চলে গেল: নৌ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু করলেই খালি চলে গেল, চলে গেল; আরে কী চলে গেল ভাই। গত ১৭ বছরে এই বন্দরে যখন লুটপাট চলছিল, তখন কথা বলেননি কেন।’

সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন। 

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর এবং বে-টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব ইজারার ভিত্তিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা আছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও বামপন্থী রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করছে।

উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে, বন্দরকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, কিচ্ছু চলে যায়নি। পোর্টের ইফিসিয়েন্সি (বন্দরের সক্ষমতা) বাড়ানোর জন্য যদি আমাদের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন (শর্তাবলী) পূরণ হয়, যদি আমরা দেই, তাহলে আপনারাই দেখবেন এই পোর্টের চেহারা বদলেছে কী বদলায়নি।

বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নৌ উপদেষ্টা বলেন, ট্যারিফ বাড়ানোর আগে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে গেছে, এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আদালতে ট্যারিফ বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরা হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে নৌ উপদেষ্টা বলেন, দেশের ক্ষতি করে বা বন্দরের আর্নিং (আয়) ক্ষতি করে কোন টার্মিনাল করবো না। আপনারা আমার সম্পর্কে জানেন। আমার লেখালেখি সম্পর্কেও আপনাদের ধারণা আছে। 

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখানেই আছি। পুরো পরিবার এখানে (বাংলাদেশে)। আমি কোথায় পালাবো?’

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে প্রায় ৩২ একর জায়গায় একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৪ একর জায়গায় ইয়ার্ড করা হয়েছে। এতে বন্দরের ১০ হাজার একক কনটেইনার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে জানান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে নির্মাণের অপেক্ষায় থাকা বে-টার্মিনাল এলাকায় নির্মিত পরিবহন টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া, বন্দর এলাকায় ইস্ট কলোনি সংলগ্ন তালতলায় নির্মিত কনটেইনার ইয়ার্ডেরও উদ্বোধন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম‍্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, সচিব ওমর ফারুকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনমত জরিপ সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে মুহিত ই হচ্ছেন বর্নি ইউপির চেয়ারম্যান

বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনায় ও জরিপে ৭৫% মানুষ এম এ মুহিতের পক্ষেই সমর্থন দিয়েছেন। তারা বলেন যে যাই বলোক চেয়ারম্যান হিসাবে এম এ মুহিত ই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ‍্যতা রাখেন। বর্নির মানুষ তাদের প্রার্থী নির্বাচনে কখনো ভুল করেনা। আগেও যাদের নির্বাচিত করেছিলো সবাই ই ছিলো এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য। এবার ও তারা এই ইউনিয়নের যোগ্য চেয়ারম্যান হিসাবে এম এ মুহিত কে বেচে নিয়েছে। তা আগামী ২৮ তারিখ বিপুল ভোটে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন।

তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। এরমধ্যে একটি ইউপি হচ্ছে বর্নি ইউনিয়ন  এখানে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চার জন প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী জুবায়ের হোসেন । অন্যরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (মটর সাইকেল ) প্রার্থী আব্দুল মুহিত, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি (ঘোড়া) শামিম আহমদ। বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ( আনারস) জয়নাল আবদিন।

স্থানীয়রা জানান, এই ইউপিতে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র (মটর সাইকেলে ) প্রার্থী আব্দুল মুহিত । তিনি শেষ মুহূর্তে বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন। কর্মী-সমর্থদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিভিন্নস্থানে করছেন সভা, সমাবেশ। তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি। নতুন করে দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইছেন মটর সাইকেল মার্কায় ভোট। এতে মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। এজন্য জয়ের ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী মুহিত।

মটর সাইকেলের কর্মী-সমর্থকরা জানান, মটর সাইকেলের প্রার্থী এম এ মুহিত একজন সৎ, নীতিবান রাজনীতিক হিসেবে দলের নেতাকর্মীসহ সবার কাছে পরিচিত। তিনি অতীতে দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। যার কারণে ইউনিয়নের জনগন তাকে মূল্যায়ন করে নির্বাচন করার উৎসাহ প্রদান করেছেন। তারা আশা করছেন, মটর সাইকেল নিয়ে মুহিত বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে বলেও তারা আশা করছেন।

 আলাপকালে মটর সাইকেলের প্রার্থী আব্দুল মুহিত বলেন, মটর সাইকেলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানেই যাচ্ছি ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে মানুষজন আমার জন্য কাজ করছেন। আমি প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষ খুবই উচ্ছ্বসিত। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব। তিনি বলেন,আমি যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই তাহলে এখনও যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করব পাশাপাশি বর্নি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দির্ঘদিন যাবত এই ইউনিয়নে কোন নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাই। ৫ বছর আগে এই ইউনিয়নের জনগনের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন ৩ বছর আগে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন‍্য যুক্তরাজ্য চলে যান। তার পর থেকে একটি ওয়ার্ডের মেম্বার কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জরুরী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও মুলত ইউনিয়নের সাধারণ জনগন একজন চেয়ারম্যানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবক হীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের মানুষ। তাই ইউনিয়ন ব‍্যাপি আইন শৃংখলা সহ পরিষদের সংস্কার যোগ‍্য যোগাযোগ খাতের রাস্তা ঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে ও আমি আমার ব‍্যাক্তিগত ভাবে ইউনিয়নের সবকটি রাস্তার সংস্কার করে জন সাধারনের চলাচলের উপযোগী করে দেই। এছাড়াও বিভিন্ন সমসায় জর্জরিত ইউনিয়ন বাসী। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই সকল সমস‍্যা স্থায়ীভাবে নিরসনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব

বৃক্ষ দস্যুদের হানা ; হাকালুকির ২০ হাজার বৃক্ষনিধন!

প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের পাড়ের হিজল-করচ-বরুণসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০ হাজার গাছ কেটে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, মালাম বিলের বাঁধ নির্মাণের নামে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ইজারাদারের লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে।

এতে হুমকিতে পড়েছে হাকালুকি হাওরের জীববৈচিত্র্য। বিলটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা অংশে পড়েছে।  

সম্প্রতি গাছ কাটার ঘটনায় হাকালুকি ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য ও জলজ বনের পাহারাদার মো. আব্দুল মনাফ সাত জনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসককে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন।

এদিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্টরা। এতে হাওরপারের মানুষ ও পরিবেশবাদীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।    

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের অর্ন্তভূক্ত বড়লেখা উপজেলার অধীনে মালাম বিলের (মৎস্য জলাশয়) আয়তন ৪২৮.৯২ একর। ১৪২৭ বাংলা হতে ১৪৩২ বাংলা সন পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকায় মালাম বিলটি ইজারা নিয়েছে বড়লেখা উপজেলার মনাদি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০০৩ সাল হতে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়নে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মালাম বিলের (কান্দির) পাড়ে সরকারি ভূমিতে হিজল, করচ, বরুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ বৃক্ষ রোপণ করে। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে। বর্তমানে প্রাকৃতিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সৃজিত জলজ উদ্ভিদ গুলো ১০-১৫ ফুট উচ্চতার হয়েছে। যা হাকালুকি হাওরের ইসিএ এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবরোধে বিশেষ অবদান রাখছে। গত ২৭ মে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ইজারাদারের লোকজন বিলের বাঁধ নির্মাণের নামে বিলের পাড়সহ প্রায় ১২ বিঘা জমির প্রায় ২০ হাজার গাছ অবৈধভাবে কেটে নেয়। এরপর তারা সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করেছে। এতে হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।   

হাকালুকি হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকর্মী (বনায়ন পাহারাদার) আব্দুল মনাফ বলেন ‘মালাম বিলের ইজারাদার সমিতির লোকজন বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ গ্রামের জয়নাল উদ্দিন, মক্তদির আলী, মশাইদ আলী, রিয়াজ উদ্দিন, কালা মিয়া, সুরুজ আলী, মনাদি গ্রামের জয়নাল উদ্দিন প্রমুখদের নিয়ে এক্সাভেটর দিয়ে মে মাসের প্রথম দিকে বিলের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের সরকারি ভূমির জলজ বৃক্ষ নিধন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। আমরা বাঁধা দিলে তারা তা মানেনি। এছাড়া বিলের পাড়ের গাছ কেটে অনেকেই বোরো চাষের জমি তৈরী করছে। এ ঘটনায় ৭ জনের নামে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

মনাদি মৎস্যজীবী সমিতির পরিচালক জয়নাল উদ্দিন বলেন, ‘জলমহাল ইজারায় শুধুমাত্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার করা হয়। তা সকলেই জানেন, প্রভাবশালীরা বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগকারীরাই এখানকার গাছ কেটেছেন, বাঁধ দিয়েছেন। যদিও কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে মিটমাট করা হবে বলে শুনেছি।’

কারা গাছ কেটেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট তপন চন্দ্র দেবনাথ সিলেটটুডেকে বলেন, ‘জলা বনের পাহারাদারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বনায়নটি পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের। তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি। বিষয়টি তাদের দেখার কথা।’

পরিবেশ অধিপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ইবিএ প্রজেক্টের এডমিন এন্ড ফিন্যান্স অফিসার (এএফও) সাহিদ আল শাহিন সিলেটটুডেকে বলেন, ‘হিজল-খরচ গাছ কাটার ঘটনাটি পাহারাদার আমাকে জানিয়েছে। অফিসের কাজে আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। তারা জানায় দুস্কৃতিকারীরা প্রায় ২০ হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে ইসিএভুক্ত মালাম বিল এলাকায় প্রায় ৭০ একর জায়গায় হিজল-করচসহ পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলো অনেক বড় হয়েছিল। এ ঘটনায় পাহারাদার থানায় ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইসিএভুক্ত এলাকায় সরকারি অনুমোদিত প্রকল্প ব্যতিত গাছ কাটা, খনন, স্থাপনা নির্মাণ, পাখি শিকার করা ইত্যাদি বেআইনি। গাছগুলো কাটায় হাওরের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।’

পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারি পরিচালক মো. বদরুল হুদা সিলেটটুডেকে বলেন, ‘গাছকাটার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই জায়গাটি পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে প্রাণ-প্রকৃতি বিষয়ক গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ সিলেটটুডেকে বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের জন্য হিজল-করচ-বরুণ গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ। কারণ এগুলো জলাভূমির উদ্ভিদ। হিজল-করচ হাওর অঞ্চলে জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট তৈরি করে। এই কারণে হাওরে অনেক হিজলবাগ, করচবাগ আছে। হাওরের হিজল-করচ গাছের ওপর নির্ভর করে মাছ, পাখি, বন্য জীবজন্তু এবং হাওরপারের মানুষজন বেঁচে থাকেন। হিজল-করচ গাছের মধ্যে মাছের খাবার তৈরি হয়। এজন্য যেখানে হিজল-করচ গাছ থাকে সেখানে কার্প জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার ঘটে।’

প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণারত এই লেখক আরো বলেন, ‘এভাবে হাকালুকি হাওরে বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে ফেলায় হাওরের বাস্তুসংস্থান এবং জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি করবে। এর আগে ২০০৭, ২০১০ এবং ২০১৮ সালে হাওর অঞ্চলে মাছের ব্যাপক মৃত্যু হয়েছিল প্রাকৃতিক শৃঙ্খলে বিপর্যয় ঘটায়। প্রতিবেশ সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের গাছ কাটার ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব মালাম বিলে হিজল-করচসহ যেসব প্রজাতির গাছ কাটা হয়েছে পুনরায় লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী সিলেটটুডেকে বলেন, ‘গাছ কাটার ঘটনাটি আমার যোগদানের আগেই ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কে বা কারা গাছগুলো কেটেছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জুড়ীতে ইউপি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের গলার কাটা বিদ্রোহীরা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে কাল (বৃহস্পতিবার) ভোট। ইতিমধ্যে প্রচারণার কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচারণা শেষ হলেও ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা শান্তিপূর্ণ ভাবে যেন হয়, সেটাই ভোটারদের প্রত্যাশা। তবে অবাধ, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৬০৭, পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৩০, জায়ফরনগর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৫৭৬, সাগরনাল ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৮৪৪ এবং গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৮২৪ জনসহ মোট ৯২ হাজার ৮৮১ জন ভোটর রয়েছেন।এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় ভাবে ৫ ইউনিয়নে ৫জন প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দিলেও তিন ইউনিয়নে চার জন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। অবশ্য দল থেকে তাদের বহিস্কার করা হয়।

এখানে আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন দিনে নৌকা রাতে অন্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের পুত্র জাকির হোসেন ঝুমন নিজের ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করে ওদেরকে ঠিক হয়ে যাবার কঠোর হুসিয়ারী দিয়েছেন। বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচনে না এলেও ৫ ইউনিয়নে বিএনপির বিভিন্ন পদধারী ৭ জন প্রার্থী 

প্রার্থী নির্বাচন করছেন। যদিও দল তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। উপরন্তু দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।মোহাম্মদ জায়েদ আনোয়ার চৌধুরী জায়ফরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের একক প্রার্থী। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নির্বাচনী সকল সভায় বক্তব্য রাখেন। কিন্তু মাট পর্যায়ে সেরকম কোন ভূমিকা না রাখার অভিযোগ রয়েছে। প্রার্থীর বিরুদ্ধেও কর্মীদের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে

 ইউনিয়নের সাবেক ২৬ বছরের চেয়ারম্যান ও জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আব্দুল খালিক চৌধুরীর পুত্র জায়েদ দলীয় প্রতীক এনে চমক দেখালেও ভোটের মাটে তেমন প্রভাব দেখাতে পারেননি। এখানে বিএনপি দলীয় বর্তমান চেয়ার মাছুম রেজা ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন। নিজের ব্যক্তিত্বগুণে ইউনিয়নে নিজের ভিত্তি বেশ মজবুত করতে সক্ষম হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মক্তদীরের এ পুত্র।এদিকে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

নতুন প্রার্থী হিসেবে তিনি বেশ সাড়া ফেলে প্রতিদ্বন্ধীতায় উঠে এসেছেন। এ ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী মো: সোহেল আহমদ হাতপাখা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন।পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেও তার গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলী। ঘোড়া প্রতীকে তিনি আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

এখানে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন মঈজনের পুত্র মামুনুর রশীদ পিতার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আনারস প্রতীকে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন। অপর স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে মাটে রয়েছেন।পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদির। নির্বাচনে এ নতুন প্রার্থীর সামনে বাঁধার প্রাচীর আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে নিজের ও পরিবারের 

ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ধারে কাছে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে আরেক নতুন প্রার্থী আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী রুয়েল উদ্দিন। ঘোড়া প্রতীকে অপর দুই প্রার্থীর ঘুম হারাম করে দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ভ্রাতুস্পুত্র, ফ্রান্স প্রবাসী রুয়েল। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাবের উদ্দিন (মোটরসাইকেল)।গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাব উদ্দিন আহমদ। সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমদের পুত্র, 

৪ বারের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন নির্বাচনের শুরু থেকেই বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। তার প্রায় বিশ বছরের সাজানো বাগান তছনছ করে দিচ্ছেন তারই গোত্রীয় চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মো. আব্দুল কাইয়ুম। নির্বাচনে নতুন মুখ কাইয়ুম ঘোড়া নিয়ে হেলে দুলে চলছেন। সেই সাথে ঢোল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. সবুজ মিয়া শাহাব উদ্দিনের পথ আগলে ধরার চেষ্টা করছেন। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মো. মোশতাক খাঁন চশমা প্রতীকে সবার ভোটে ভাগ বসাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওয়াছির উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীক এবং রজনীগন্ধা প্রতীকে সুহেল আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী।সাগরনাল ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল নুর এবং স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী শাহিন আহমদ রুলন আনারস প্রতীকে।উপজেলার পূর্বজুড়ী, পশ্চিমজুড়ী, গোয়ালবাড়ি ও সাগরনাল ইউনিয়ন চা বাগান অধূষ্যিত। এখানে চা বাগানের ভোটের উপর জয়-পরাজয় অনেকটা নির্ভর করে। যদিও চা শ্রমিকদের ভোট সব সময় নৌকার পক্ষে যায়। তবুও স্থানীয় নির্বাচনে অনেক প্রার্থী বাগানের ভোটে ভাগ বসান।

বড়লেখার বর্নিতে বিতর্কিত বিএনপি-জামায়াত পরিবারে নৌকা দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একাংশ। এসময় তারা বর্ণি-দাসেরবাজার সড়কের ফকিরবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগও করেছেন।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বর্ণি ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তারা এই কর্মসূচি পালন করেছেন। একইসঙ্গে তারা জোবায়ের হোসেনের মনোনয়ন পরিবর্তন করে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিতকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে তারা মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মুহিতের বাড়িতে প্রতিবাদ সভা করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত, বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম আহমদ ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। তাদের তিনজনের নাম কেন্দ্রে পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ। গত ২৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে। তাদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পান বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন। এ খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদে একাংশ।

এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৮টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিতের বাড়িতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইবুর রহমানের সঞ্চালনায় মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুন নূর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালিক, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছয়েফ উদ্দিন তুলা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী চন্দন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম প্রমুখ।

সভায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত দলের একজন ত্যাগী নেতা। আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের চাপে তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আমদের আশা ছিল কেন্দ্র তাকে দলের মনোনয়ন দেবে। জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তার নামও প্রথমেই ছিল। আমরা জেনেছি মুহিত দলের মনোনয়নও পেয়েছিলেন। পরে শুনেছি, রহস্যজনক কারণে তালিকা থেকে তাকে বাদ দিয়ে কালো টাকার বিনিময়ে জোবায়ের হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জোবায়ের হোসেন বিএনপি-জামায়াত পরিবারের মানুষ। তার এক ভাই ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। আরেক ভাই জামায়াতের বড় পদে আছেন। অপর ভাই লন্ডন বিএনপির নেতা। তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ, বিস্মিত। আমরা অবিলম্বে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের ওই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ত্যাগী নেতা মুহিতকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আশা করি আমাদের প্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়টি পুর্নবিবেচনা করবেন।’

মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের জন্য অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নেতাকর্মীরা চাওয়ায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশি ছিলাম। আশা ছিল দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আমাকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়ত পরিবারের একজন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে নেতাকর্মীরা হতাশ। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেছেন।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া জোবায়ের হোসেনে মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর মুঠোফোনে বলেন, ‘জোবায়ের হোসেন বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্র থেকে তাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করা ঠিক হয়নি।’

ইউপি নির্বাচনে আ:লীগের দলীয় মনোয়ন ফরম কিনলেন বর্নির জুবায়ের আহমদ।

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন। তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বর্নি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়ন ফরম ক্রয় করলেন।

এর আগে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের কাছে। পরে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, স্থানীয় সাংসদ. গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের আহব্বানে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত উপজেলার সকল মনোয়ন প্রত‍্যাশীদের নীয়ে শপত গ্রহন অনুষ্টানে উপস্থিত থেকে শপথ নেন। ইউপি নির্বাচনে দল থেকে মনোয়ন বঞ্চিত হলে কোন অবস্থায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন না।

আজ সকালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে দলের মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

দুবাই-গামী প্রবাসীকে প্লেনে ওঠার আগ মুহূর্তে আটকে দিল নিরাপত্তাকর্মীরা

প্লেনে ওঠার আগেই আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইগামী এক যাত্রীকে আটকে দিয়েছে এয়ারপোর্টের নিরাপত্তাকর্মীরা।ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার হজরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে।ওই যাত্রী অবৈধভাবে ৬৫ হাজার সৌদি রিয়াল বহন করছিলেন বলে জানা গেছে।

এয়ারপোর্ট এভিয়েশন সিকিউরিটি পলাশ নামের ওই যাত্রীকে আটক করে।বিধি অনুযায়ী, এয়ারপোর্টে বৈদেশিক মুদ্রা বহন করলে সেগুলোর ঘোষণা দিতে হয়।তবে ওই যাত্রী মুদ্রার ঘোষণা দেননি।যে কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে বিমানবন্দরের ‘সি’ নম্বর সারির চেকিং পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়।পলাশের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়।

শাহজালাল এয়ারপোর্টের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল হাসান জানান, শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে ওই যাত্রী দুবাই যাচ্ছিলেন।এদিকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৫৩৪ জন যাত্রী ফ্লাইটের ছয় ঘণ্টা আগে করোনার নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমিরাত গিয়েছেন।

আর এসময় নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ায় ৯ জন আমিরাত যেতে পারেননি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, শুরুর দিকে আমিরাতগামী যাত্রী সংখ্যা কম হলেও বর্তমানে প্রতিদিনই যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে।

প্রবাসীকর্মী প্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা নমুনা পরীক্ষার ফি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হচ্ছে।

Design a site like this with WordPress.com
Get started